লাইফস্টাইল

যে ৪ খাবার শরীরের জন্য উপকারী এবং ক্ষতিকর

আমাদের সুস্থতার অনেকাংশই নির্ভর করে আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকার ওপর। এখন ইন্টারনেট ঘাঁটলেই আপনি নানা ধরনের তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন সহজেই। যে কারণে কোন খাবারটি সত্যিকারের স্বাস্থ্যকর আর কোনটি নয় তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। অনেক সময় আমরা ভাবি যে আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছি, কিন্তু বাস্তবতা হতে পারে সম্পূর্ণ বিপরীত। বিপরীতভাবে, আমরা কোনো খাবারকে অস্বাস্থ্যকর মনে করতে পারি, কিন্তু সেটি উপকারীও হতে পারে। কিছু খাবার আবার উভয়েরই মিশ্রণ। সেগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে ভালো এবং অতিরিক্ত খাওয়া হলে ক্ষতিকর। এই ৪ খাবারের উপকারিতা এবং অপকারিতা দুই-ই রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ঘি

প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের রান্নাঘরে ঘি একটি প্রধান উপাদান। ঘি সত্যিই বেশ স্বাস্থ্যকর হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, ঘি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টিতে ভরপুর। তবে এর সুবিধা পেতে হলে খেতে হবে পরিমিত। ঘি অতিরিক্ত গরম করার ফলে ক্ষতিকারক যৌগ তৈরি হতে পারে। সুতরাং, ঘি কখনো অতিরিক্ত গরম করবেন না। প্রতিদিন খাওয়ার জন্য এক চা চামচ ঘি যথেষ্ট।

২. ভাত

আরেকটি খাবার যা আপনার অবশ্যই পরিমিত খেতে হবে তা হলো ভাত। এটা সত্যি যে ভাত প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে, কিন্তু খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। ভাত খাওয়ার সময় আপনার থালায় প্রোটিন এবং ফাইবার দিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। এটি রক্তে শর্করার মাত্রার আকস্মিক স্পাইক প্রতিরোধে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, অধিকাংশ খাবারের সঙ্গে ভাত একটি দুর্দান্ত জুটি, তবে কখনোই ভাতকে আপনার খাবারের কেন্দ্রবিন্দু করা উচিত নয়।

৩. আচার

উপকারিতা এবং অপকারিতা দুই-ই আছে এমন আরেকটি খাবার হলো আচার। আমরা খাবারকে আচারের সঙ্গে জুড়তে পছন্দ করি। এই খাবার প্রোবায়োটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডা। কিন্তু এর টক স্বাদ উপভোগ করতে হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। কারণ এতে থাকে উচ্চ সোডিয়াম সামগ্রী। অতিরিক্ত আচার খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মাঝে মাঝে আচার খান এবং অবশ্যই পরিমিত।

৪. নারিকেল

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নারিকেলের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে ক্যালোরিতে কম। সেইসঙ্গে এই ফল স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (MCTs) সমৃদ্ধ। এসব কারণে নারিকেল পুষ্টির পাওয়ার হাউস হয়ে ওঠে। তবে আপনার একথাও মনে রাখা জরুরি যে নারিকেলে ক্যালোরিও বেশি থাকে। সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে পরিমিত নারিকেল খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিয়মিত ডাবের পানি খেতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading