চট্টগ্রামে পাঁচ ট্রাকে সাত টন মাছ জব্দ, গ্রেপ্তার ১৫
প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এই বছরও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্র থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরে সরবরাহের সময় পাঁচটি ট্রাক থেকে সাত টন মাছ জব্দ করেছে চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌপুলিশ। এসময় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (১৩ জুলাই) নগরীর শাহ আমানত এলাকা থেকে এসব মাছ ও ট্রাক জব্দ করা হয়।
নৌপুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সকালে নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালায় নৌ-পুলিশ। এ সময় সন্দেহজনক ৫টি ট্রাকে তল্লাশি করা হয়।
পরে ট্রাক থেকে ককশিটের বক্সের ভেতরে রাখা প্রায় ৭ টন লইট্টা ও তুলারডানডি মাছ পাওয়া যায়। মাছের ৫টি ট্রাকসহ ১৫ জন ব্যক্তিকে এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাকগুলোর মধ্যে বাঁশখালীর রয়েছে দুটি আর বাকি তিনটি কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার।
সদরঘাট নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা সাত টন মাছ জব্দ করেছি। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আদালত মাছগুলো কোল্ডস্টোরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। প্রতিবছরের মতো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা দিয়েছিল।