শপথের আগে মোদিকে কেন ‘দই-চিনি’ খাওয়ালেন প্রেসিডেন্ট মুর্মু?
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেবেন। এর আগে গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন মোদি।
সেসময় নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নিতে যাওয়া হবু এই প্রধানমন্ত্রীকে ‘দই-চিনি’ খাওয়ান মুর্মু। কেন বিশেষ এই খাবারটি মোদিকে খাওয়ান তিনি?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের সরকার গঠন করছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। এর মাধ্যমে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এসময় মোদিকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট মুর্মু। তারপরই হবু এই প্রধানমন্ত্রীকে দই-চিনি খাওয়ান তিনি। মূলত শুভ কাজের আগে দই-চিনি খাওয়ানো হয়। এটাই রীতি। চিরাচরিত প্রথা মেনেই নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নিতে যাওয়া হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দই খাওয়ান দ্রৌপদী মুর্মু।
প্রায় দেড় মাস ধরে চলা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে গত ৪ জুন। এই নির্বাচনে ২৪০ আসন পেয়েছে বিজেপি। জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ সংখ্যা পেরিয়েছে তারা। এরপর গত শুক্রবার এনডিএর বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে এনডিএর সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। তারপরই সন্ধ্যায় দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন মোদি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এ উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে রাষ্ট্রপতি ভবন। দিল্লিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের ৮ হাজারেরও বেশি অতিথি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
ইতোমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহল এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে-সহ অনেকেই মোদির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতকর্তা। শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থল রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঁচ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও এনএসজি কমান্ডো, ড্রোন এবং স্নাইপার নিয়ে বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলার সময় যেকোনও অপরধমূলক বা সন্ত্রাসী হুমকি রোধ করতে দিল্লিতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ সোমবার পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।