সারাদেশ

সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে‌ আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাবনার সুজানগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) সকালে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাদুয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে আছে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজনদের। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। এরপর থেকে কাদোয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। আজকে সকাল ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- আব্দুল ওহাব গ্রুপের কাদোয়া গ্রামের ভ্যানি প্রামাণিকের ছেলে তাজু প্রামাণিক (৪৫), মৃত সবেত আলী প্রামাণিকের ছেলে আলাউদ্দিন প্রামাণিক (৫০), আলাউদ্দিনের স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৪০) ও ছেলে আশিকুর রহমান শুভ (২১), মৃত ফাততার আলীর ছেলে মাসুম শেখ (৩৪), মৃত হযরত আলী প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০), আব্দুস সালাম প্রামাণিকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও তফিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫)। শাহীনুজ্জামান শাহীনের গ্রুপের একই এলাকার সাহেব প্রামাণিকের দুই ছেলে সলিম প্রামাণিক (৩৫) ও ইসিম প্রামাণিক (৪০), সুবহান প্রামাণিকের ছেলে সুমন প্রমানিক (৩৮), মৃত ইমান প্রামাণিকের ছেলে মনির উদ্দিন প্রামাণিক (৬৩) এবং আজিত কাজীর ছেলে উজ্জ্বল কাজী (৪০)।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। স্থানীয় ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন সুজানগরে যাই ঘটে শাহিনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। দুই দিন পর বউয়ের সঙ্গে তার ঝামেলা যদি হয় সেটাও আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেবে।

তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার লোকজনের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও হামলা হয়েছে। গতকালও মানিকহাটে আমার এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার লোকজন। সে এখন রাজশাহীতে ভর্তি। আমি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।

এ বিষয়ে পাবনার সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading