বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও গ্রাজুয়েটদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য ইউজিসি থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ ও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিসি) মধ্যকার এক মতবিনিময় সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এ কথা বলেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ মতবিনিময় সভায় আয়োজন করা হয়।
সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. তানজিবা রহমানসহ ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ এবং বিএফডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা গেলে ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা আয়োজনসহ উপাচার্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষিত মায়েরাসহ দেশের বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা গেলে বিশ্ব শ্রমবাজারে নিজেরাই কাজ খুঁজে নিতে পারবে। অন্যদিকে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করতে পারবে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. তানজিবা রহমান বলেন, দক্ষতাই একমাত্র টেকসই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে। আগামী দিনে বিশ্বের শ্রমবাজার বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হবে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলতে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।