রমজানের প্রস্তুতি নিতে যেসব আমলে মনোযোগী হবেন
রমজান আগমনের আগেই রমজানের প্রস্তুতির মাস রজব ও শাবান। রজব মাস থেকে রমজানের বরকত লাভের দোয়া পড়া শুরু করতেন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। শাবানেও একই দোয়া বেশি বেশি পড়তেন এবং সাহাবিদের পড়তে উৎসাহিত করতেন। শাবান মাসে বরকত লাভের দোয়া পড়ার পাশাপাশি রমজানের প্রস্তুতি উপলক্ষে বেশি বেশি রোজা রাখতেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
শাবানে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশি পরিমানে নফল রোজা রাখার বিষয়ে এক হাদিসে হজরত উসামা বিন জায়েদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছি, হে আল্লাহর রাসূল, শাবান মাসে আপনি যেভাবে রোজা রাখেন, সেভাবে অন্য কোনো মাসে রোজা রাখতে আমি আপনাকে দেখিনি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। ’ (নাসাঈ, হাদিস, ২১৭৯)
হাদিসের আলোকে রজব ও শাবান থেকেই রমজানের বরকত লাভের জন্য আমল শুরু করতেন পূর্ববর্তী বুজুর্গ ব্যক্তি বা সালাফে সালেহীনগণ। শাবান মাস এলে রমজানকে স্বাগত জানানোর তৎপরতা বেড়ে যেতো তাদের। পূর্বসূরী অনুসরণীয় ব্যক্তিরা যে পদ্ধতিতে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। এখাতে সেই পদ্ধতি ও ধরণ তুলে ধরা হলো-
>> গুনাহ পরিহারে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া।
>> কোরআনের তিলাওয়াত বৃদ্ধি করা।
>> পুষ্টিকর খাবার খেয়ে শরীরে শক্তি যোগানো।
>> জাকাত আদায় করা।
>> বেশি বেশি নফল রোজা রাখা।
>> রমজান ও রোজা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল ও কোরআন-হাদিসের বিধি-নিষেধ পুনঃপাঠের মাধ্যমে ভালোভাবে আয়ত্ব করে নেওয়া।
>> গুরুত্বসহকারে বেশি বেশি দোয়া করা।
>> নফল ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।
শাবান মাস মূলত রমজানকে স্বাগত জানানোর মাস। শাবান মাস শুরু হয়েছে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে। আর অল্প কিছু দিন বাকি রমজানের। তাই এখান থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে। এতে করে রমজানের পবিত্র মাসের ফজিলত সঠিকভাবে আদায় করা যাবে।