জায়েদ খানের ডিগবাজিকে ‘বাদুড় নাচ’ বললেন ক্ষুব্ধ সোহেল রানা
বড় পর্দার বাইরে নানা ধরনের উদ্ভট মন্তব্য ও আচরণ করে আলোচনা-সমালোচনায় আছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কখনও বেসুরো গলায় গান ও বিশেষ কায়দায় ডিগবাজি দিয়ে চর্চায় থাকছেন এই অভিনেতা। তাঁর এসব কাণ্ডে বিরক্ত বরেণ্য অভিনেতা সোহেল রানা।
বিষয়টি নিয়ে তিনি বললেন, ‘জায়েদকে নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না। কারণ এখন সে আর এটার উপযুক্ত না। আমি তাকে নিয়ে যা বলতাম এখন আর সে উপযুক্ততায় নেই। তাকে নিয়ে কথা বলে আমার সময় নষ্ট করতে চাই না।’
দুই দুইবার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। শিল্পীদের সুখে-দুঃখে সর্বদা পাওয়া গিয়েছে তাকে। সিনিয়র শিল্পীদের মাথায় করে রাখতেন সেই জায়েদের এমন কর্মকাণ্ড মেনে নিতেও পারছেন না সোহেল রানা।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই নায়ক-প্রযোজক বলেন, ‘‘ও (জায়েদ খান) যে বিভিন্ন সময় বলে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করেছে, এটাতে আমাদের অনেক খারাপ লাগে। কখনও ওর সঙ্গে দেখা হলে আমি বলব, ‘তুমি এটা আর বলো না।’ এটা এজন্য, আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে বের হয়েছি আমি। আমরা যখন ঢাবি থেকে বের হতাম তখন আমাদেরকে সবাই সম্মান করতো। আর তুমি (জায়েদ খান) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে মেয়েদের সামনে ডিগবাজি মারছো। নাচ করলে গোবিন্দর মতো নাচো, আমি তোমাকে অনার করবও। কিন্তু এটা তুমি কি করছো?’’
জায়েদের এমন লাফকে ডিগবাজি বলতেও নারাজ এই কিংবদন্তি। এই কর্মকাণ্ডকে ‘বাদুড় নাচ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এগুলো তো ডিগবাজি না। ডিগবাজি এরকম হয় না।’
সবশেষে সোহেল রানাকে প্রশ্ন করা হয়, বড় ভাই হিসেবে জায়েদ খানকে কি পরামর্শ দিবেন, এমন প্রশ্নে সোহেল রানা বলেন, ‘আমি ওর বড় ভাই না। আমি তাকে কোনো পরামর্শ দিতে চাই না। সে ছোট ভাইয়ের সে উপযুক্ততা রাখেনি।’
চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি হলো জায়েদ খানের আচমকা ডিগবাজি।জায়েদ জানিয়েছেন, আমেরিকায় একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে নাচতে গিয়ে পরিকল্পনা ছাড়াই ডিগবাজি দিয়ে দেন। আর সেটিই ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই ডিগবাজির প্রসঙ্গে বারবার আলোচনায় উঠে এসেছেন জায়েদ খান। এটা হয়ে গেছে তাঁর পারফরম্যান্সের প্রধান অনুষঙ্গ।