জীবিত থেকেও মৃত বৃদ্ধা
বয়সের ভারে অনেকটা নুয়ে পড়েছেন হালিমা খাতুন। থাকছেন ছেলেদের সঙ্গে। তবে জীবিত থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে দেখানো হয়েছে মৃত হিসেবে।
সম্প্রতি বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গেলে বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। তাই ভাতার কার্ড পাচ্ছেন না হালিমা খাতুন। বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি সাহায্য থেকে।
হালিমা খাতুনের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের আইজউদ্দিন এলাকায়। স্বামীর নাম কাইয়ুম শিকদার। তার জন্ম ১৯৩৫ সালে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ভোট দিতে গিয়েছিলেন হালিমা খাতুন। আঙুলের ছাপ না মেলায় সেদিন ফিরে এসেছিলেন তিনি। তখন অবশ্য বিষয়টি আমলে নেননি পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন করলে সেখান থেকে জানানো হয় তিনি ‘মৃত’। ছয় বছর আগেই মারা গেছেন। আর জাতীয়পরিচয়পত্রে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারলে বয়স্ক ভাতা মিলবে তার।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বারবার যোগাযোগ করেও সমাধান মিলছে না বলে জানা গেছে। বড় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, হালিমা খাতুনের বয়স্ক ভাতার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করলে দেখা যায়, তিনি মৃত। তাই তার এই আবেদন বাতিল করে দেয়া হয়। এর দায় ইউনিয়ন পরিষদের নয়। নির্বাচন কমিশন এবং সার্ভারের জটিলতা।
জাজিরা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় মৃত ব্যক্তির ভোটার তালিকায় হালিমা খাতুনের নাম চলে এসেছে। এছাড়া বাকি সবকিছু ঠিকঠাক আছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার যোগাযোগ করলে সমস্যার সমাধান হবে।
এতদিনেও তথ্য সংশোধন বা হালনাগাদ না হওয়ায় ভাতা বঞ্চিত হালিমা খাতুনকে বিভিন্নজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।