জাতীয়

থাকছে না ৭ দিনের কম মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজ

মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজ কমাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে সাতদিনের কম মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজ থাকছে না। বর্তমানে বিদ্যমান ৯৫টি প্যাকেজের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৪০টি প্যাকেজ করার কথা রয়েছে। সে হিসাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে প্যাকেজের মেয়াদ হবে সাতদিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড। তবে এর বাইরেও পছন্দমতো প্যাকেজ তৈরি করে নিতে পারবেন গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নতুন নির্দেশিকায় প্যাকেজ সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০টি এবং মেয়াদ সাতদিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড করা হচ্ছে। অপারেটরদের অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকেরা নিজেদের পছন্দমতো প্যাকেজ বানিয়ে নিতে পারবেন। যা এই ৪০টি প্যাকেজের বাইরে হবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) মোবাইল ডেটার প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রণয়ন চূড়ান্ত করছে বিটিআরসি। নতুন এই নির্দেশিকা সম্পর্কে মুঠোফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। এর আগে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশিকা সম্পর্কে সবাইকে জানাবে বিটিআরসি।

চলতি বছরের মে মাসে মোবাইল ডেটার প্যাকেজ নির্ধারণ করে দেওয়ার একটি খসড়া পরিকল্পনা করার কথা জানায় বিটিআরসি। সে লক্ষ্যে একটি জরিপ করে বিটিআরসি। মে মাসে তার ফলাফল তুলে ধরা হয়। ওই জরিপের ফলাফলে বিটিআরসি জানিয়েছিল, বেশিসংখ্যক গ্রাহক ইন্টারনেট প্যাকেজের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০টির মধ্যে রাখার মতামত দিয়েছেন। বেশিরভাগ গ্রাহক চান, ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ হওয়া উচিত তিনটি— সাতদিন, ৩০ দিন ও নির্দিষ্ট মেয়াদহীন (আনলিমিটেড)।

প্রসঙ্গত, এখন সর্বোচ্চ ৯৫টি প্যাকেজের অফার দিতে পারে মুঠোফোন অপারেটরগুলো। ২০২২ সালে এক নির্দেশিকায় এই সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। সেখানে তিনদিন, সাতদিন, ১৫ ও ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়। এরপর বিটিআরসি বলছে, বেশি প্যাকেজ নিয়ে অভিযোগ দিচ্ছে গ্রাহকরা। বেশি প্যাকেজ থেকে সঠিকটা বাছাই করা জটিল। তাই আবারও ইন্টারনেটের প্যাকেজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading