সারাদেশ

ত্রিমুখী সংঘর্ষে নাটোর শহর রণক্ষেত্র, পুলিশ সুপারসহ আহত ২০

কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নাটোর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে পুলিশ সুপারসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টায়। সকাল থেকেই নাটোর শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হতে থাকেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে ছাত্রলীগ সেখানে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। সকাল থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি ও হকিস্টিক হাতে প্রেসক্লাব চত্বরে উপস্থিত হয়। এই উভয় পক্ষের সমাবেশকে লক্ষ্য করে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ উভয়পক্ষকে সংঘর্ষ থেকে নিবৃত্ত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়।

এক সময় কোটাবিরোধীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এক সময় বেলা ১১টার দিকে কোটাবিরোধীরা পুলিশ এবং ছাত্রলীগকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এ সময় কোটাবিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং রাবার বুলেটে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ফিজ রাহী আহত হন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ দুইজন আন্দোলনকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন শিক্ষার্থী শহরের সাদেক কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। অপরদিকে আহত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে ছত্রভঙ্গ হওয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুনরায় শহরের মাদরাসা মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে নাটোর-বগুড়া এবং নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সেখানেও হঠাৎ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে নাটোরের পুলিশ সুপারসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading