আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত বেড়ে ২৭

ইন্দোনেশিয়ার একটি অবৈধ স্বর্ণখনিতে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় এখনও এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ থাকলেও শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের বোনে বালাঙ্গো জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার দেশটির উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, ভূমিধসের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় তল্লাশি ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান হেরিয়ান্তো ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘তল্লাশি ও উদ্ধারকারীরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুস্মরণ করে গত সাত দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করেছেন। আজ এই অভিযানের শেষ দিন।’’

তিনি বলেন, ‘‘যদি নিখোঁজ ভুক্তভোগীদের আইনি ও সঠিক প্রমাণ থাকে এবং বোনে বালাঙ্গো সরকার অনুরোধ করে, তাহলে আমরা আবারও অভিযান পরিচালনা করব।’’ সংস্থাটি তল্লাশি শেষ করার আগে নিখোঁজ লোকজনের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভূমিধসের এই ঘটনার পর উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বোনে বালাঙ্গোর ওই গ্রামে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। বৈরী আবহাওয়া ও ভূমিধস এলাকার কাছাকাছি সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়। উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য পায়ে হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এর আগে, দেশটির একজন তল্লাশি ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তা বলেছিলেন, খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কিছু খনি শ্রমিক ও খনির কাছাকাছি এলাকায় দোকান পরিচালনাকারী লোকজন আছেন।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর শিথিলতার সুযোগে ইন্দোনেশিয়াজুড়ে অবৈধভাবে খনি খনন এবং খনিজ সম্পদ আহরণের প্রবণতা রয়েছে। কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব খনিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের বেশি ঝুঁকি থাকে। তবে জুলাই মাসে দেশটিতে সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে এবং এই সময়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা বিরল।

গত মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি গ্রামে ভূমি ধসে অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। তার আগের মাসে একই প্রদেশের ভিন্ন একটি গ্রামে ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading