অর্থনীতি

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম বাড়ল ৩০ টাকা

বাজারে গরু-খাসির তুলনায় ব্রয়লার মুরগির চাহিদা তুলনামূলক বেশি, যে কারণে দামও অনেকটা বাড়তি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মুরগির দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য মাংসের তুলনায় মুরগির চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজারে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

আজকের বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়।

এর আগে ৫ জুলাই (শুক্রবার) একই বাজারের একই দোকানগুলোতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় এবং তারও আগের সপ্তাহে (২৮ জুন) ১৭০ কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই সপ্তাহের ব্যবধানেই কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

মনিরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাসায় এখনও পর্যাপ্ত কোরবানির মাংস রয়ে গেছে। এরপরও মুরগির মাংসটা কিনতে হয়। মুরগির চাহিদা একটু বেশি থাকে। এই সুযোগটাই ব্যবসায়ীরা নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও মুরগি ছিল ১৭০ টাকায়, এখন কী এমন হলো যে কেজিপ্রতি ২০ টাকা দাম বাড়াতে হলো? এসবের কোনো জবাব ব্যবসায়ীদের কাছে নেই। কিছু বললে উল্টো তারা বলে নিলে নেন, না হয় বাদ দেন।

সাব্বির আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যারা মেসে থেকে পড়াশোনা করি, আমাদের অনেকটাই মুরগির মাংসের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। কিছুদিন আগে দামটা কমেছিল, আমরাও একটু স্বস্তিতে ছিলাম। এখন দেখছি আবার দাম বেড়ে যাচ্ছে।

মধ্যবাড্ডা এলাকার গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত ইসলাম বলেন, কোরবানির পর গরুর মাংসের চাহিদা খুবই কম থাকে। যে কারণে দামটাও কম থাকে। আজকের বাজারে গুরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। কলিজা বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা করে। এছাড়াও গরুর পায়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জোড়া বিক্রি করছি।

এদিকে মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মুরগির সরবরাহ কিছুটা কম। যে কারণে দামটাও একটু বেশি। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাংসের চাহিদাটা একটু বেড়ে যায়, বাজারে যদি সেই পরিমাণে সরবরাহ না থাকে, তাহলেই দাম বেড়ে যায়, এখানে আমাদের কিছুই করার থাকে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading