সারাদেশ

এলাকায় মসজিদ-মাদরাসা চালান পিএসসির কর্মকর্তা আবু জাফর

বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উপ-পরিচালক মো. আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে। এলাকায় তার অর্থ-সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি প্রায় ৬০ শতাংশ জমির ওপর একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করছেন। বাড়ির পাশে নির্মাণ করেছেন একটি মাদরাসা ও মসজিদ। প্রতিষ্ঠান দুটির সব খরচ তিনিই বহন করেন।

বুধবার (১০ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, আবু জাফর গত তিন বছর আগে মিয়া বাড়ির পাশে ৬০ শতাংশ জমির ওপর একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে খুব একটা আসেন না আবু জাফর, আর গেলেও থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী কল্যাণকলস গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবু জাফর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত তোফাজ্জেল মিয়ার ছোট ছেলে। তোফাজ্জেল মিয়ার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে আবু জাফর সবার ছোট। তোফাজ্জেল জমি চাষাবাদ করতেন। ১৮ বছর আগে তিনি মারা গেছেন। বর্তমানে আবু জাফরের পৈতৃক ভিটাবাড়ি কিছুই নেই। কয়েক বছর আগে লোহালিয়া নদীতে তাদের পৈতৃক ভিটাবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। পরে তিনি মিয়া বাড়ির কাছেই ৬০ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে জাফরের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির কাজ চলমান আছে।

এছাড়াও কলাগাছিয়ার মিয়া বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে একটি মসজিদ এবং একটি হাফেজি মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং। যা আবু জাফর নির্মাণ করে দিয়েছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল খরচ তিনিই বহন করেন।

মিয়া বাড়ি হাফেজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইমরান হোসেন বলেন, এই মসজিদ ও মাদরাসা তাদের। এখানে যত খরচ জাফর মিয়া ও তার ভাই আউয়াল মিয়া চালান। আমরা তো জানতাম তিনি সচিবালয়ে অনেক বড় চাকরি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক মৃধা বলেন, জাফর মেয়া সচিবালয় চাকরি করেন আমরা তো হেডাই জানতাম, ভালো টাকা পয়সাও আছে তার। এহানে তেমন না আইলেও বড় একটা বাড়ি বানাইতেছে। তার একটা মসজিদ ও মাদরাসা আছে, খরচ নিজেই দেন।

কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিপাউল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকায় এলে থাকতেন তার শ্বশুরবাড়িতে। তার শ্বশুরবাড়ি ৬ নং ওয়ার্ডের কল্যাণকলস গ্রামে। তিনি কয়েক বছর আগে ১ নং ওয়ার্ডে ৬০ শতাংশ জায়গা কিনে দেয়াল করে রেখেছিলেন। গত ৩ বছর আগে বাড়ির কাজ শুরু করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading