জাতীয়

বাজারে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে এখনও বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে। বাজারে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেশি। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, ঈদের আগেই কাঙ্ক্ষিত পশু বিক্রি করতে পারবেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের স্থায়ী পশুর বাজার বিবির হাটে সরেজমিন দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে গরু আনা হয়েছে। পুরো বাজারে হাজারের বেশি গুরু-ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু ক্রেতার তেমন উপস্থিতি নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৮টি গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. মাঈনুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে গরু হাটে তুলেছি। এখন পর্যন্ত একটি গরু বিক্রি হয়েছে। বাজারে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। আজ থেকে অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়বে। আশা করি সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে। আমার এখানে এক লাখ ২০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার গরু আছে।’

বাজারে আসা দর্শনার্থী কলেজছাত্র আব্দুল্লাহ রেফাই বলেন, ‘ঈদ আসলে আমরা বাজার দেখতে আসি। শহরে সারা বছর এমন পরিবেশ থাকে না। এই বাজারে অনেক বড় গরু আনা হয়। তাই এখানে ঘুরতে এসেছি।’

ওহিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘দাম কেমন দেখতে আসছি। ঈদের বাকি আরও তিনদিন। এখন কিনে নিয়ে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হবে। সেজন্য ঈদের আগে কিনব।’

ক্রেতারা বলছেন, শহরে আগেভাগে গরু কেনা ঝামেলার কাজ। কারণ গরু কিনে রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা শহরে থাকে না। তাই শহরের বাসিন্দারা ঈদের আগে গরু কেনেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, কুমিল্লা, নাটোরসহ অন্যান্য এলাকা থেকে গরু এনেছেন ব্যাপারীরা। আছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালী থেকে নিয়ে আসা গরুও। স্থানীয় বিভিন্ন খামারের হৃষ্টপুষ্টকৃত প্রচুর গরুও আনা হয়েছে বিক্রির জন্য।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এবার নগরে স্থায়ী–অস্থায়ী ১২টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট হচ্ছে– সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার।

অস্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে– মধ্যম হালিশহর মুনির নগর আনন্দ বাজার সংলগ্ন রিং রোডের পাশে খালি জায়গা, মোহরা ওয়ার্ডের জানালী রেল স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের পরিত্যক্ত খালি জায়গা, কর্ণফুলী পশুর বাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট অথবা বহাদ্দারহাট এক কিলোমিটার থেকে শাহ আমানত ব্রিজের উত্তর পাশ পর্যন্ত), ৪১নং ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ ও একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নং ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড় এবং ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading