কোরবানির পশুর চামড়ার দামও বাড়াতে হবে
একটি সিন্ডিকেট চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে বলে দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেছেন, পাট শিল্প শেষ করা হয়েছে। এখন চামড়া শিল্পকেও ধ্বংসের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে কিন্তু কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ছে না।
বুধবার (১২ জুন) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব।
তিনি বলেন, একটি ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী কওমি মাদরাসাকে ধ্বংসে মরিয়া হয়ে উঠছে। কওমি মাদরাসায় দেশের লাখ লাখ এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষ বিনা বেতনে ও বিনা খরচে পড়ালেখা করে। যার অধিকাংশ কোরবানির পশুর চামড়া থেকে ব্যয়ভার নির্বাহ করা হয়। কওমি মাদরাসাগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেজন্য একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও বঞ্চিতদের হক নষ্ট করছে।
ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরীব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী। প্রতিবছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এতে বিঘ্নিত হয় দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার দর নিয়ে গত বছরগুলোর ন্যায় আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এবং তাদের এজেন্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চামড়ার দাম কমিয়ে গরীব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এই জিম্মি দশা থেকে কওমি মাদ্রাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।