বিনোদন খবর

সোহমকে বুদ্ধিমান ভাবতাম, চড়কাণ্ডে বললেন দেব

কলকাতার নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁয় শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক ও টালিউড অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। সেখানে ওই রেস্তোরাঁর মালিককে মারধর করেন অভিনেতা। এ ঘটনার পর থেকেই টালিগঞ্জের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বিরোধী দল ছাড়াও নিজ দলেরও অনেকেই পাশে নেই সোহমের।

এদিকে সোহমের সঙ্গে খুবই ভাল সম্পর্ক তারকা-সাংসদ দেবের। তবে সোহমের সাম্প্রতিক এই কর্মকাণ্ড ঘিরে স্বয়ং দেবও তার পাশ থেকে সরে এসেছেন। এমন ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন করেন না এই অভিনেতা। সোমবার এক বিবৃতিতে দেব বলেন, ‘সোহম আমার খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু বন্ধু বলে আমি সবকিছু সমর্থন করতে পারি না। সোহমের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, ও ঠিক কাজ করেনি।’

সোহমের চড়কাণ্ডের পর অনেকের সমালোচনার বিষয় ছিল যে, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে যতটা সহনশীল আচরণ করা উচিত ছিল, তিনি তার ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন। বিবৃতিতে একই কথা বললেন দেব। তার কথায়, ‘সোহম একজন জনপ্রতিনিধি। আমি ওকে বুদ্ধিমান বলে ভাবতাম। ও যা করেছে, ঠিক করেনি।’

গত শুক্রবার রাতে নিউটাউনের সাপুরজি এলাকায় সোহমের শ্যুটিং চলছিল। সেখানে ওই রেস্তোরাঁর সামনে সোহম ও তার প্রোডাকশন টিমের অনেকগুলো গাড়ি রাখা ছিল। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক তার হোটেলের সামনে থেকে একটি গাড়ি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা উত্তর দেন, ‘বিধায়কের শ্যুটিং চলছে, তাই এখান থেকে কোনও গাড়ি সরবে না।’

এমন উত্তরে তখন কড়া ভাষায় গাড়ি সরাতে বলেন ওই রেস্তোরাঁ মালিক। বলেন, ‘বিধায়ক যেই হোক না কেন, গেট থেকে গাড়ি সরাতে হবে। আমার গেস্ট আসবে।’ আর নিয়েই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। হইচই শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সোহম। একপর্যায়ে হাতাহাতি, এরপর ঘটে চড় কাণ্ড।

যদিও ঘটনার পরদিন চড়কাণ্ড নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সোহম। তবে তার দাবি ছিল, সেদিন রাতে সোহম ও তার প্রযোজনা সংস্থার কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। অকথ্য গালিগালাজ করা হয়, কু-কথা বলা হয় তার নেতা অভিষেক ব্যানার্জির নামেও। সেই সময়ে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading