একবার না কয়েকবার বলেছি, ওষুধের দাম যেন না বাড়ে
ওষুধের দাম যেন না বাড়ে সে ব্যাপারে একবার নয়, কয়েকবারই বলেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
রোববার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
ইচ্ছে মতো ওষুধের দাম না বাড়াতে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওষুধের দাম বাড়ানো বা না বাড়ানোর বিষয়ে আদালতকে নির্দেশনা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না। আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখব।’
সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেডিকেল যন্ত্রপাতি কিনছে। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ বা পরিচালনার জন্য বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো পদ নেই। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, যন্ত্রপাতি কেনার ব্যাপারে আমাদের একটা নীতি যেটা আমরা ঠিক করেছি যন্ত্রপাতি আমি সেগুলোই কিনব যেগুলো চালানোর মতো লোক আছে।
‘আমাকে একজন প্রশ্ন করল, এক জায়গায় ডিজিটাল এক্সরে মেশিন গেছে কিন্তু সেখানে চালানোর মতো লোক নেই। এ ধরনের পদক্ষেপ আমি নেব না। আমি আগে দেখব ওই জায়গায় যে ডিমান্ড আসবে ওই হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালানোর মতো কোনো লোক আছে কি না। যদি থাকে তবে আমি কিনব, না হয় কিনব না।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। আমি আমার যে হাসপাতাল তৈরি করেছি, সেখানেও একটা পোস্ট রেখেছি বায়োমেডিকেল, আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।