সারাদেশ

২০ জুন থেকে মিলবে হাঁড়িভাঙ্গা আম, সংরক্ষণে গবেষণার দাবি চাষিদের

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় জিআই পণ্য স্বীকৃত সুস্বাদু হাঁড়িভাঙ্গা আম আগামী ২০ জুন থেকে গাছ থেকে পাড়া শুরু হবে। এরপরই শুরু হবে হাঁড়িভাঙ্গার আনুষ্ঠানিক বাজারজাত। প্রথমে ১৮ জুন করা হলেও ঢাকা থেকে নির্দেশ আসার পরে দুই দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয় আম পাড়ার দিনক্ষণ। এ বছর প্রায় দুই হাজার হেক্টর বাগানে হাঁড়িভাঙ্গার ফলন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড়শ কোটি টাকার ওপরে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

এদিকে হাঁড়িভাঙ্গা পাকলে এই আম ৩-৪ দিনের বেশি রাখা যায় না। সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো পদ্ধতি। এই আম সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া চাষিরা পেলে স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও পাঠানো সহজ হত, এমনটাই মনে করছেন আমচাষিরা।

কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে পরিপক্ব হাঁড়িভাঙ্গা আম। এর আগে বাজারে হাঁড়িভাঙ্গা আম পাওয়া গেলেও তা অপরিপক্ব হবে। হাঁড়িভাঙ্গার প্রকৃত স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। বর্তমানে বাগানগুলোতে আমের পরিচর্যা চলছে।

এদিকে হাঁড়িভাঙ্গা আম সংরক্ষণে গবেষণা জরুরি বলে দাবি করা চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এই আম পরিবহনের জন্য বিশেষ বাস ও ট্রেন সার্ভিস চালু করা দরকার। একই সঙ্গে ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। হাঁড়িভাঙ্গা আমের রাজধানী খ্যাত পদাগঞ্জ হাটের রাস্তাঘাটের সংস্কার এবং হাটে আম বিক্রির শেড নির্মাণ, ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ানো, পাবলিক টয়লেট স্থাপন ও বৃষ্টির সময় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি তাদের।

সংরক্ষণে চলছে গবেষণা, দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, হাঁড়িভাঙ্গা আম সংরক্ষণে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা করছে। তবে কবে নাগাদ গবেষণার ফলাফল পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এই আমের লাইফলাইন নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে গবেষণামূলক কাজ করা হচ্ছে। হাঁড়িভাঙ্গা আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এ কারণে সংরক্ষণে গবেষণার দাবি এখন আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে।

হাঁড়িভাঙ্গা ঘিরে সচেতন মহলের প্রত্যাশা

এই আম রংপুর অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, সংরক্ষণ প্রক্রিয়া না থাকায় রপ্তানিকারকদের মাঝে অনীহা রয়েছে। ফলে বিদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা এই আম রপ্তানি করতে পারছে না। এতে করে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার আম সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। সচেতন মহল মনে করছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি তৎপর হলে হাঁড়িভাঙ্গা আম সংরক্ষণের প্রচেষ্টা দ্রুত সময়ের মধ্যে আলোর মুখ দেখবে। সঙ্গে হাঁড়িভাঙ্গা আম নির্ভর করে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও চাঙ্গা হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রংপুরের ঐতিহ্য হাঁড়িভাঙ্গা আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই আম সংরক্ষণ করতে পারলে চাষিরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি এই সুস্বাদু আমের স্বাদ আরও অনেকে নিতে পারত। আমাদের পিছিয়ে পড়া রংপুরের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।

সাবেক পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা কাজী মো. জুননুন বলেন, হাঁড়িভাঙ্গার বাজার সম্প্রসারণ ও চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের আমচাষিরা এখনও বাস ও ট্রেনের বিলম্ব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রংপুর শহর এবং পদাগঞ্জ হাটে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিক্রির শেড গড়ে উঠেনি। বাজার ব্যবস্থাপনায় এসব এখন সময়ের দাবি।

যেভাবে রংপুরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের গোড়াপত্তন

হাঁড়িভাঙা আমের গোড়াপত্তন করেছিলেন খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের নফল উদ্দিন পাইকার নামে এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ।  স্বাধীনতার আগের বছর ১৯৭০ সালে নফল উদ্দিন পাইকার ১২০ বছর বয়সে মারা যান। এখন তার লাগানো হাঁড়িভাঙা গাছটির বয়স ৭৫ বছর।

নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, সম্ভবত ১৯৪৯ সাল, তখন তার বাবা নফল উদ্দিন এই গাছটি রোপণ করেছিলেন। উপজেলার বালুয়া মাসুমপুর গ্রামটি ছিল ঝোপজঙ্গলে ভরপুর। সেই এলাকার একটি জমি থেকে দুটি আমের চারা নিয়ে এসে কলম করেন তার বাবা। তবে একটি গাছ চুরি হয়ে যায়। বাকি গাছটিতে মাটির হাঁড়ি বেঁধে পানি (ফিল্টার সিস্টেমে) দেওয়া হত। একদিন রাতে কে বা কারা মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে।

তিনি আরও জানান, গাছটিতে একসময় বিপুল পরিমাণ আম ধরে। খেতে খুবই সুস্বাদু। বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে লোকজন এই আম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন থেকেই গাছটি হাঁড়িভাঙা নামে পরিচিতি পায়। এখন হাঁড়িভাঙা আমের সুনাম মানুষের মুখে মুখে। গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বাগান। আমচাষি, বাগানি, ব্যবসায়ী- সবাই দিন দিন লাভবান হচ্ছেন। মাতৃগাছ থেকে কলম করা অনেক চারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ-বিদেশে বেড়েছে হাঁড়িভাঙার কদর।

মাতৃগাছটির সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন বলেন, ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাঁড়িভাঙা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। হাঁড়িভাঙ্গা আমের জনক হিসেবে তার বাবার স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি।

হাঁড়িভাঙ্গার সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখেন আব্দুস সালাম

৭৫ বছর আগের হাঁড়িভাঙ্গা আমের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯২ সাল থেকে রংপুরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের সম্প্রসারণ শুরু হয়। হাঁড়িভাঙ্গা আমের সম্প্রসারক আখিরাহাটের আব্দুস সালাম সরকার। তিনি হাঁড়িভাঙ্গা আমের ব্যাপক সম্প্রসারণ করেন। এখনও তিনি হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ করে আসছেন।

শুধু চাষবাদ নয়, এই অঞ্চলের হাঁড়িভাঙ্গা সম্প্রসারণে আব্দুস সালাম সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। তার হাত ধরেই রংপুর অঞ্চলের মানুষ এখন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভের আশায় জেলার উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে প্রতিবছর হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

আব্দুস সালাম সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রায় ৩২ বছর ধরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ করছি। আমার দেখাদেখি এখন রংপুরে কয়েক লাখ হাঁড়িভাঙ্গা আমের গাছ রোপণ করেছে আমচাষিরা। আমার ২০টির বেশি বাগান রয়েছে। এ রকম অনেকের আমবাগান রয়েছে। পুরো জেলায় এখান প্রতিবছর প্রচুর আম উৎপাদন হয়।

তিনি আরও বলেন, টেকসই অর্থনীতির জন্য আমি শুরু থেকেই হাড়িভাঙ্গা আমের সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন, আধুনিক আমচাষ পদ্ধতি বাস্তবায়ন, গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ হাঁড়িভাঙ্গাকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই দাবি উপেক্ষিত হলেও আমের উৎপাদন ও বাগান সম্প্রসারণ থেমে নেই। সরকার একটু দৃষ্টি দিলেই হাঁড়িভাঙ্গাকে ঘিরে এই অঞ্চলের অর্থনীতি আরও সচল হবে।

নির্বিঘ্নে আম বাজারজাত করতে দুর্যোগকালীন দুশ্চিন্তা তাড়াতে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি বিপণন ও পরিবহন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দাবি জানান হাঁড়িভাঙ্গা আমের সম্প্রসারক আব্দুস সালাম সরকার।

তরুণরা ঝুঁকছে আম উৎপাদন ও বিপণনে

হাঁড়িভাঙা আমকে ঘিরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে রংপুরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলায়। বিশেষত মিঠাপুকুরের লালপুর, পদাগঞ্জ, তেকানিসহ আশপাশের গ্রামের বেকার যুবকরা এখন আম ব্যবসায় জড়িয়ে বেকারত্ব দূর করেছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবে হাঁড়িভাঙ্গার বাজার সম্প্রসারণ ও চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন।

পদাগঞ্জের তরুণ উদ্যোক্তা ও আমচাষি মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, পড়ালেখা করে অনেক দিন ভাবছি কি করবো। এখন আমি আমকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছি। প্রথমে পরীক্ষণমূলকভাবে আম চাষ শুরু করেছিলাম। লাভবান হওয়ার পর থেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙা আমের চাষাবাদ ও ব্যবসা করছি। নিজের পাশাপাশি এলাকার অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে চেষ্টাও করছি।

মিঠাপুকুর উপজেলার তেকানি গ্রামের হাসান মিয়া ও সোহাগের মতো আরও অনেকেরই আম বাগান জুড়ে গাছে গাছে দোল খাচ্ছে হাজার হাজার হাঁড়িভাঙ্গা। এই আম যেন তাদের মনে আনন্দ উচ্ছ্বাসের ঢেউ ছড়াচ্ছে। তারা স্বপ্ন দেখছেন হাঁড়িভাঙ্গাকে ঘিরে এবার রংপুর অঞ্চলে দেড়শ কোটি টাকার বেশি বিকিকিনি হবে।

ভালো হাঁড়িভাঙ্গা আম চেনার উপায়

ভালো মানের হাঁড়িভাঙ্গা আম চেনার উপায় প্রসঙ্গে আমজাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আমের ওপরটা যত কালচে, ভেতরে ততই সুন্দর। এর স্বাদ ও মিষ্টি লোভনীয়। দেখতে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন আমে কীটনাশক ও স্প্রে ব্যবহার বাগান কিনে নেওয়া ব্যবসায়ীরা নিজেদের লাভের জন্য করে থাকেন। এতে আম দেখতে ভালো, সুন্দর ও পাকা রঙের মনে হয়।

হাঁড়িভাঙ্গা আমের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আঁশবিহীন, মিষ্টি ও সুস্বাদু। এই আমের আঁটিও খুব ছোট। ছাল পাতলা। প্রতিটি আমের ওজন হয় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম। মৌসুমের শুরুতে হাঁড়িভাঙ্গার চাহিদা বেশি থাকায় এর দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আকারভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে।

এ বছর হাঁড়িভাঙ্গা আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

বিষমুক্ত ও অতি সুমিষ্ট আশঁহীন হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। কয়েক বছর ধরে ফলন ভালো হওয়ায় বেড়ে চলেছে আম উৎপাদনের পরিধিও। রংপুর সদর, মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃত এলাকার ফসলি জমি, বাগানসহ উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে এই আম।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে জানান, চলতি বছর জেলায় ৩ হাজার ৩৫৯ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গার চাষাবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে। এ বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন। শুরুর দিকে প্রতি কেজি আম ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে আমের আকার ও পরিস্থিতির অনেক সময় দামের হেরফের হয়।

জেলা প্রশাসনের আশ্বাস

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাজারজাত করতে যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, তা মনিটরিং করা হবে। বিশেষ করে পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকারি পরিবহন সুবিধার বিষয়টিও দেখা হবে।

এদিকে রংপুর অঞ্চলে হাঁড়িভাঙ্গা আমের ফলন বেশি হলেও ফজলি, সাদা ল্যাংড়া, কালা ল্যাংড়া, মিশ্রিভোগ, গোপালভোগ, আম্রপালিসহ আরও নানা প্রজাতির আম উৎপাদন হয়ে আসছে। এসব আমের ভিড়ে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা হাঁড়িভাঙ্গার। সম্প্রতি হাঁড়িভাঙ্গা আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading