‘বাজেটে রাঘববোয়ালদের লুট করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাঘববোয়ালদের লুট করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এক সাংবাদিক বললেন, ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন (এখানে প্রধানমন্ত্রী হবে) ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হবে, এটা নাকি মাছের টোপ। দুর্নীতিবাজদের ধরার জন্য টোপ দিচ্ছে। আসলে এটা হাস্যকর। আপনার নিজেরাই এর সঙ্গে জড়িত। আপনি বাজেট দেখলেই বোঝতে পারবেন, রাঘববোয়ালদের লুট করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক বছর একই ব্যবস্থা করে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবে না। এসব কথা বলে একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে মানুষের সঙ্গে আর কতদিন প্রতারণা করবেন?
সিরাজুল আলম খান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামের যে চালিকা শক্তি সেখানে তিনি কাজ করেছেন। আমি ভিন্ন রাজনীতি করেছি, তিনি ভিন্ন রাজনীতি করেছেন কিন্তু তার যে অবদান সেটা কখনও অস্বীকার করা যাবে না। যারা অস্বীকার করতে চায় তারা আসলে বাংলাদেশে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়।
বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যেখানে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে যারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন দূরে থাক, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে বহু দূরে বাংলাদেশকে ছিটকে ফেলে দিয়েছে। শাসকগোষ্ঠী এখন মানুষের কল্যাণে কাজ করছে না, তারা শোষণ ও নির্যাতন করছে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।