ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগে ‘ভয়ঙ্কর পিচ’ নিয়ে আতঙ্ক!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০টি ম্যাচ হয়েছে, এর মধ্যে দুটি খেলা গড়িয়েছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। দুটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। তারচেয়ে বড় দুর্ভাবনার বিষয় আইসিসির এই মেগা প্রজেক্টে বসানো ‘ভয়ঙ্কর পিচ’। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। আগে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা এই পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, এবার জোরেশোরে যোগ দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কারণ একই ভেন্যুতেই যে বহুল প্রতিক্ষিত ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল রোহিত শর্মার ভারত। যেখানে আইরিশদের ৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে জশুয়া লিটলের শর্ট বল রোহিতের কাঁধে আঘাত করে। এর পরও অবশ্য রোহিত ব্যাটিং চালিয়ে যান। তবে ব্যথা বাড়তে থাকায় ফিফটি পূর্ণ করার পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এ ছাড়া ভারতের জয় নিশ্চিত করা আরেক ব্যাটার রিষভ পান্তকেও উঁচু–নিচু বিভ্রান্তিকর বলে ভুগতে হয়েছে। এরপর থেকে সমানে ড্রপ–ইন পিচের সমালোচনায় নেমেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকরা।
চলতি বিশ্বকাপে আইসিসি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধারাভাষ্য দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। সম্প্রতি ক্রিকেটকে বিদায় জানানো সাবেক এই ক্রিকেটারও সমালোচনায় মুখর ক্রিকবাজের আলোচনায়, ‘এটি সেরা পিচ নয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত পিচ হয়ে থাকে ব্যাটারদের অনুকূলে। কিন্তু এখানে বোলারদের অনুকূলে পিচ বানানোর সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এটি (পিচের মাটি) বেশ ফাঁপা এবং অতিরিক্ত বাউন্স মাথার ওপর দিয়ে যায়, আবার কখনও বলই ওঠে না তেমন। ড্রপ-ইন পিচে এখানে নতুন, কিন্তু ঠিকভাবে বসানো হয়নি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে এ নিয়ে আরও আলোচনা উঠবে।’
কার্তিকের কথা টেনে নিয়ে পিচকে ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেন ভোগলে, ‘এটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ‘‘কার্তিক সেরা পিচ নয়’’ উল্লেখ করে বিনয় দেখিয়েছে। তাদের (আয়ারল্যান্ড) ১০–১১ নম্বরে নামা একজন ব্যাটার এমন একটি বল মুখোমুখি হয়েছিল, যেটাতে সামনের দিকে এগোলেও বল অতিক্রম করেছে মাথার ওপর দিয়ে। এ ধরনের বল অনেক বিপজ্জনক।’
সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনও চাঁচাছোলা ভাষায় মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্কের পিচ নিয়ে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট বিক্রির কাজ চলছে। তবে এজন্য নিউইয়র্কের সাব-স্যান্ডার্ড পিচে ক্রিকেটারদের খেলতে হবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বকাপে খেলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে এরকম পিচে খেলতে হচ্ছে, এটা বাজে ব্যাপার।’