বেরোবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, মহাসড়ক অবরোধ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের কর্মীরা বিচারের দাবিতে কিছু সময়ের জন্য রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিমু রায় এবং একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুন্না হাসান লিয়নের সঙ্গে সভাপতি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পিপাসের কথা কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে পিপাস রড দিয়ে রিমুর পিঠে আঘাত করে এবং এরপর সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা রড কেড়ে নিয়ে পিপাসকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পিপাস ও তার সঙ্গে থাকা বন্ধু আহত হলে তারা অন্যান্য বন্ধুদের ডাক দেয় তখন রিমু ও লিয়ন স্থান ত্যাগ করে।
এরপর ছাত্রলীগের দুপক্ষের প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগের কর্মীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হন। তখন কিছু সময়ের জন্য সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা অন্যগ্রুপের কর্মীদের বিচার চেয়ে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ বিষয়ে বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ঘটনার বিষয়ে বলেন, আমি শুনলাম আগের কোনো ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিয়ন আর রিমু পিপাসকে মেরেছে। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।