অভিনব কায়দায় অর্ধ লক্ষ টাকার ঔষধ প্রতারণা
মফিজুল ইসলাম:
এই ব্যক্তিকে ভালোভাবে চিনে রাখুন। মাস্ক কেনার নাম করে দোকানটি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। পরবর্তিতে আরেকজন ব্যক্তির কাছে থাকা একটি ব্যাগ সুকৌশলে পরিবর্তন করছেন। যেখানে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ঔষধ রয়েছে। এই কাজটি করতে ৩ জন ব্যক্তি বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদরের কালেক্টর স্কুলের পূর্ব পাশে অবস্থিত লিভ ওয়েল ফার্মাতে। এই ফার্মেসির মালিক পাহেলি পিয়ার মল্লিক। এঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা চেয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ।
জানাযায়, গত মার্চ মাসের ১৪ তারিখে বিদেশি একজন যাত্রীর জন্য ৩৫ হাজার টাকার ইন্সুলিন ক্রয় করতে আসেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। দোকানে এসে প্রতিষ্ঠানের মালিক পাহেলি পিয়ার মল্লিককে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করে ফেলে। পূর্বেল একজন ব্যক্তি এর আগে ৪টি সিরাপ ক্রয় করেন। সেই ব্যক্তি কৌশলে ইন্সুলিনের ব্যাগটি পরিবর্তন করে নিয়ে চলে যায়। এবং অপর ব্যক্তি ব্যাগটি রেখে ফোনে কথা বলতে বলতে জরুরিভাবে বাহিরে চলে যায়। দোকানি মনে করেন তার ঔষধের ব্যাগটি রেখে গেছেন। এই ভেবে বাধা দেয়নি। কিন্তু পরে দেখেন ইন্সুলিনের ব্যাগ নেই আছে সেই ৪টি সিরাপের ব্যাগটি। পরে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হন তারা প্রতারক চক্র ছিলো।
ভুক্তভুগি নারী উদ্যোক্তা পাহেলি পিয়ার মল্লিক জানান, তাকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করে এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ঔষধ হাতিয়ে নিয়ে যায় প্রতারকচক্র। এসময় তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমন আর্থিক ক্ষতিতে প্রতারকদের ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, একজন নারী উদ্যোক্তার দোকান থেকে এভাবে প্রতারণার বিষয়টি খুবই দু:খ জনক। এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এসময় তিনি প্রতারককে ধরিয়ে দিতে সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। তাদেরকে কোথাও দেখলে ঝিনাইদহ সদর থানার নাম্বারে যোগাযোগ করার আহাবান জানান।