হাইওয়ে বিরতি রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত মূল্য আদায়
ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০২৪:
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করেছে যে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে যাতায়াতের সময় হাইওয়ে বিরতি রেস্তোরাঁয় যাত্রীদের কাছ থেকে সেহেরী ও ইফতারির জন্য অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিবরণ:
- সড়কপথে:
- বাস কোম্পানি নির্ধারিত বিরতি রেস্তোরাঁয় যাত্রীদের ইফতারির জন্য
- ১টি পেঁয়াজু,
- ১টি বেগুনি,
- ১ পিস জিলাপি,
- ১/২টি খেজুর,
- ১টি আলুর চপ,
- ৫০ গ্রাম মুড়ি,
- ৫০ গ্রাম ছোলা,
- ১টি ছোট সাইজের কলা অথবা ১ পিস ৪ ভাগের ১ অংশ আপেল,
- ১ গ্লাস সরবত,
- ২৫০এমএল ১ বোতল পানি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
- বাস কোম্পানিগুলোর রেস্তোরাঁর সাথে কমিশন চুক্তি রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
- রেস্তোরাঁয় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে।
- বাস কোম্পানি নির্ধারিত বিরতি রেস্তোরাঁয় যাত্রীদের ইফতারির জন্য
- রেলপথে:
- ট্রেনের কোচে লাগানো মূল্য তালিকা অনুসরণ না করে ইচ্ছামত মূল্য আদায় করা হচ্ছে।
- নৌপথে:
- বিলাসবহুল লঞ্চের কেন্টিনে পরিবেশিত সেহেরী ও ইফতারির জন্যও অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে।
দাবি:
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে।
সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাবিত পদক্ষেপ:
- রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত খাবারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা।
- মূল্য তালিকা স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা।
- বাস কোম্পানি ও রেল কর্তৃপক্ষের তদারকি বৃদ্ধি করা।
- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
এই অভিযোগের ফলে:
- নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন।
- যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।
- দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা:
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা উচিত। অন্যথায়, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।