সারাদেশসর্বশেষ

কক্সবাজার থেকে আরও ১২৪২ রোহিঙ্গা গেল ভাসানচরে

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ২৪তম ধাপে আরও ১ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরের পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ১১০ জন রয়েছে। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল প্রায় ৩৬ হাজারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের বাসে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে আজ শুক্রবার বিকেলে তাদের ভাসানচরে নেওয়া হয়।

নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা পেঙ্গুইন, ডলফিন, টুনা ও বানৌজা তিমি যোগে ১ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৯২, ৯৩ ও ৯৪ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

ভাসানচর ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. রফিকুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ৯২, ৯৩ ও ৯৪ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসনচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপসচিব) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে গো অ্যান্ড সি ভিজিটের আওতায় যাওয়া ১১০ জনসহ মোট ১২৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসেছে। কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ আশ্রয় শিবির থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভাসানচরে ৩৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, কক্সবাজার থেকে ভাসানচর আসা পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মোট ২৩ ধাপে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা যায়।

জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading