বেইলি রোডের আগুনে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় প্রাণ গেছে অনলাইন পত্রিকা দ্য রিপোর্টের সাবেক সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর। বর্তমানে তার মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংরক্ষণ করা হয়।
শুক্রবার (১ মার্চ) দ্য রিপোর্ট.লাইভের চিফ রিপোর্টার গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় তুষার হাওলাদার নামের দ্য রিপোর্টের আরও এক সাংবাদিক মারা গেছেন বলে জানান গোলাম রাব্বানী।তিনি বলেন, ‘গত জানুয়ারিতে চাকরি ছেড়েছিলেন অভিশ্রুতি। তুষার হাওলাদারের সঙ্গে আরেকজন ছিলেন, যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন জানতে পারি অভিশ্রুতিকেও পাওয়া যাচ্ছে না। তখন খুঁজতে এসে তাকে শনাক্ত করি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘অভিশ্রুতির এনআইডি নেই। তবে জন্ম সনদ আছে। ছয় মাস আমাদের সঙ্গে চাকরি করেছে। গত জানুয়ারিতে তিনি চাকরি ছেড়েছেন।’
জানা গেছে, অভিশ্রুতি নির্বাচন কমিশন বিটে কাজ করতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি ইডেন মহিলা কলেজে সদ্য স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছেন। ঢাকার মৌচাকের সিআইডি অফিসের বিপরীতে একটি মেসে থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান। তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পরে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।