জেলার খবর

পঞ্চগড়ে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর জানল ছুটির কথা

দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান তিন দিনের জন্য (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আজ মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর পাঠদান বন্ধের ঘোষণাটি জানতে পারে। এ খবরে তারা বাড়িতে ফিরে গেছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ৮টার দিকে তাঁরা প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে পাঠদান বন্ধের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে গেলেও পঞ্চগড়ে সকাল ৯টার পর থেকেই আছে ঝলমলে রোদ।

এর আগে সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলে তা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এর পরপরই শিক্ষা কর্মকর্তারা জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এ বার্তা পৌঁছে দিয়ে ছুটির ঘোষণা দিতে বলেন।

আজ সকালে পঞ্চগড় জেলা শহরের পঞ্চগড় বিষ্ণুপ্রসাদ (বিপি) সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সদর উপজেলার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কালেজিয়েট ইনস্টিটিউট, দেওয়ানহাট উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা ছুটির ঘোষণা পেয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।

দেওয়ানহাট উচ্চবিদ্যলয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার বলে, ‘আমরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে এসে জানতে পারি, শীতের কারণে আমাদের স্কুল তিন দিনের বন্ধ দিয়েছে। এরপর আবার শুক্র ও শনিবার থাকায় স্যারেরা আমাদের একেবারে রোববার স্কুলে আসতে বলেছেন। এখন আমরা বাড়িতে যাচ্ছি।’

পঞ্চগড় বিষ্ণুপ্রসাদ (বিপি) সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নবী উল্লাস বলে, ‘আমরা সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্কুলে এসেছি। পরে ৮টার দিকে স্যার আমাদের জানিয়ে দেন মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিন দিন শীতের কারণে আমাদের ক্লাস বন্ধ থাকবে। এ জন্য এখন বাড়িতে চলে যাচ্ছি।’

সদর উপজেলার দেওয়ানহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. উমের আলী বলেন, ‘আমরা ৯টার দিকে স্কুলে এসে শিক্ষা অফিস থেকে পাঠদান বন্ধ রাখার জন্য মুঠোফোনে খবর পাই। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে চলে এসেছে। পরে আমরা শিক্ষার্থীদের তিন দিন পাঠদান বন্ধের কথা জানিয়ে ছুটি দিয়েছি। তবে আমাদের অফিস খোলা থাকবে এবং আমরা শিক্ষকেরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্কুলেই থাকব।’

পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, ‘আমাদের স্কুল প্রভাতী ও দিবা শাখায় চলে। সকাল ৮টার দিকে শিক্ষা অফিস থেকে যখন আমরা পাঠদান বন্ধের ঘোষণা পাই, তখন প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীরা স্কুলে চলে এসেছিল। পরে আমরা শিক্ষার্থীদের কিছুক্ষণ রেখে রোদ ওঠার পর বাড়িতে যেতে বলি এবং তিন দিন পাঠদান বন্ধের ঘোষণা দিই। এ ছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিবা শাখার শিক্ষার্থীরা আসার পর তাদেরও ছুটির ঘোষণা দিয়ে একেবারে রোববার স্কুলে আসতে বলা হয়েছে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালেক বলেন, ‘আমাদের আবহাওয়া অফিস থেকে তাপমাত্রার বিষয়ে জেনে সকাল ৮টার দিকে এ ঘোষণা দিতে হয়েছে। এ জন্য প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা স্কুলে চলে এসেছিল। বিশেষ করে যেসব স্কুলে প্রভাতী শাখা আছে, সেসব শিক্ষার্থীরা আগেই চলে এসেছিল। প্রথমে আমরা মৌখিক ঘোষণা দিয়েছি। পরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষকেরা অফিস খোলা রাখবেন।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading