জাতীয়

তালিকা করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

রোববার (৩ ডিসেম্বর) জারি করা ইসির পরিপত্র-৯ এ এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনে একাধিক বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের ভোটার বিশেষ করে নারী ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া কার্যক্রম সম্পর্কে যেন সব শ্রেণির ভোটার আগে থেকে নিশ্চিত হতে পারেন, তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানাতে হবে।

এছাড়া, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রণয়ন করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করতে হবে।

এছাড়া চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

পরিপত্রে আরও জানানো হয়, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন; কোনো উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য যেন না দেন; অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা যেন কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারেন; পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক যেন বজায় রাখা যায় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Discover more from ঝিনেদা টিভি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading